• অবতার
    অবতার মানে তো অবতরণ।  নেমে আসা, মাটির পৃথিবীতে নেমে আসা। পঞ্চভূতে তৈরি জগৎ ও জীবনের এই প্রপঞ্চের মধ্যে অলৌকিক অপ্রপঞ্চ থেকে নেমে আসা। The great discent. এমন করে নেমে আসার প্রয়োজন হয় কেন ? সেই চিরাচরিত বিশাল যুক্তিটা তো আছেই যা শত-কোটি বার উচ্চারিত হয়েছে গীতা থেকে—‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।’ এখানে ধর্ম বলতে […] keyboard_arrow_right
  • কল্কি
    বঙ্গদেশের কবি তথা গীতগোবিন্দের স্রষ্টা জয়দেব ভগবান বিষ্ণুর কলিযুগের অবতারের স্বরূপ বর্ণনা করেছেন কল্কি-রূপে পৌরাণিক ভাবনার কলিযুগের অন্তিম পর্যায়ে ভগবান বিষ্ণু কল্কি রূপে মর্ত্যলোকে অবতীর্ণ হবেন। ইনি বিষ্ণুর দশা অবতার।  মহাভারতের বনপর্বে মহর্ষি মার্কণ্ডেয় নানা বিষয়ে উপদেশ দিতে দিতে ভাবী কলিযুগের এক দীর্ঘ বিবরণ দিয়েছেন। সেখানে কলিযুগের অন্তিম পর্যায়ের পৃথিবীর যে বর্ণনা আছে তা পাপে, […] keyboard_arrow_right
  • কূর্ম
    দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন বস্তুটা যদি অবতার গ্রহণের ‘প্রাইমারি মোটিফ’ হয়, তবে কূর্ম-অবতারের ক্ষেত্রে ওই দুটি বৈশিষ্ট্যকে এককথায় পরিণত করে বলতে হবে জগতের সুরক্ষা অথবা ‘সাসটেন্যান্‌স’। আর ঈশ্বরাবতের পারিভাষিকতায় কূর্ম অবতার আক্ষরিক অর্থেই ভূভার হরণ করেছেন সপ্তদ্বীপা পৃথিবীর তলায় পিঠ পেতে দিয়ে। এটা অবশ্য বলতে হবে যে, বিষ্ণুর কূর্মাবতারের সঙ্গে সমুদ্রমন্থনের পুরাকল্পটাও জড়িত এবং […] keyboard_arrow_right
  • নৃসিংহ
    নৃসিংহ অবতারের প্রথম প্রয়োজনটা কিন্তু ‘পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশয় চ দুষ্কৃতাম্’—এই প্রতিজ্ঞাত ঐশ্বরিকতার মধ্যেই ধরা আছে। তার জন্য এক অসম্ভব সুন্দর এক কাহিনিও তৈরি হয়েছে। দৈত্য হরিণ্যকশিপু ব্রহ্মার কাছে বর চাওয়ার সময়েই বুঝে গিয়েছিলেন যে, তিনি অমরত্বের বর পাবেননা। অতএব তিনি অদ্ভুত একটা বর চেয়ে বলেছিলেন—দেবতা-দানব-মানব কেউ যেন আমাকে মারতে না পারে। আমি বাইরেও মরব না, […] keyboard_arrow_right
  • বরাহ
    বিষ্ণুর বরাহ-অবতার অবস্থানেই প্রথম আমরা পৃথিবীর সুরক্ষা এবং শিষ্ট-জন-পালনের সঙ্গে দুর্জন-বিনাশের আদ্য উদ্দেশ্যটা প্রকট দেখতে পাচ্ছি। এই প্রথম আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই প্রথম আমরা দেখতে পাচ্ছি—কশ্যপ –পত্নী দিতির গর্ভে দুই ছেলে জন্মেছে—হিরণ্যাক্ষ এবং হিরণ্যকশিপু। অন্যান্য দু-চারটি পুরাণে হিরণ্যাক্ষ দৈত্য সম্বন্ধে খুব বড় কোনও বিবরণ নেই বটে, কিন্তু ভাগবত পুরাণে বেশ কয়েকটি অধ্যায় জুড়ে হিরণ্যাক্ষের কাহিনি […] keyboard_arrow_right
  • বামন
    জলচর মীন থেকে উভচর কচ্ছপ, কচ্ছপের পর এক পূর্ণ পশু—বরাহ, তারপরেই অর্ধেক পশুর সঙ্গে অর্ধেক মানুষ, অবশেষে পূর্ণ এক মানুষ, আকারে খাটো, কিন্তু পূর্ণ মনুষ্য-বৃত্তিসব পূর্ণ এক মানুষ—প্রাণের পার্থিব বিবর্তনে আমাদের পৌরাণিকও কিছু অন্যভাবে ভাবেন যেন। নরসিংহের মিশ্ররূপের পরেই সোজাসুজি এক সঠিক আকৃতির মানুষ রূপে ঈশ্বরকে অবতীর্ণ করাতে যেন পৌরাণিকের লজ্জা ছিল, নাকি সংকুচিত ছিলেন […] keyboard_arrow_right
  • মৎস্য
    যেভাবে মৎস্যাবতারের সূচনা হয়েছে, তার প্রথম বিশদ বর্ণনা আছে মৎস্য পুরাণের মধ্যেই, যদিও তার প্রাচীন উপাখ্যান-কল্পটি মৎস্যাবতারের মাহাত্ম্য বাড়িয়ে দিয়েছে কেননা, সেই উপাখ্যান আছে বেদের অভিন্ন গ্রন্থনা শতপথ ব্রাহ্মাণের মধ্যে। শতপথ ব্রাহ্মাণের বৈদিক ভাষায় ঘটনাটা একেবারেই মেদ বর্জিত, তথ্য নিবেদনের মতো। শতপথ বলেছে—সকালবেলায় সূর্যপুত্র মনু অর্থাৎ আমাদের মনু-মহারাজ হাত ধুচ্ছিলেন, যেমন সকালবেলায় উঠে এই পৃথিবীর […] keyboard_arrow_right
অভিসার আক্ষেপানুরাগ কুঞ্জভঙ্গ খণ্ডিতা গীতগোবিন্দ গোষ্ঠলীলা দানলীলা দূতী ধেনুবৎস শিশুহরণ নৌকাখন্ড পূর্বরাগ বংশীখণ্ড বিপরীত বিলাস বিরহ বৃন্দাবনখন্ড ব্রজবুলি বড়াই বড়াই-বচন--শ্রীরাধার প্রতি মাথুর মাধবের প্রতি দূতী মান মানভঞ্জন মিলন রাধাকৃষ্ণসম্পর্ক হীন পরকীয়া প্রেমের পদ রাধা বিরহ রাধিকার মান লখিমাদেবি শিবসিংহ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শ্রীকৃষ্ণের উক্তি শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ শ্রীকৃষ্ণের মান শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য শ্রীগুরু-কৃপার দান শ্রীরাধা ও বড়াইয়ের উক্তি-প্রত্যুক্তি শ্রীরাধার উক্তি শ্রীরাধার প্রতি শ্রীরাধার প্রতি দূতী শ্রীরাধার রূপবর্ণনা শ্রীরাধিকার পূর্বরাগ শ্রীরাধিকার প্রেমোচ্ছ্বাস সখীতত্ত্ব সখীর উক্তি সামোদ-দামোদরঃ হর-গৌরী বিষয়ক পদ