কান্ত যখন হয় রে স্মরণ, প্রাণ হইয়া যায় উদাসী
প্রভুর বিরহে হইলাম সন্ন্যাসী।
প্রভু গেলা মথুরায়, প্রাণ ঝুরে মোর সর্বদায়
বিচ্ছেদের অনল মোর সহন না যায়।
এ গো অন্বেষিয়া বিপিনেতে হইয়া ফিরি বনবাসী।
প্রভুর বিরহে মোর হইল রে মন উচাটন ।
হাটে ঘাটে মাঠে ফিরি করি অন্বেষণ।
এ গো বিচ্ছেদের তীক্ষ্ণশরে মন হইল উদাসী।
বৃক্ষে যত পুষ্প কলি রইল মুকুল বন্ধ করি
প্রভুবিনে ঝঙ্কারেতে প্রাণ ত্যজিল সব অলি।
এ গো কুঞ্জ বন অন্ধকার হইল না উদয় শশী।
শুন গো দূতী প্রাণেশ্বরী, বলি যে চরণে ধরি।
তোমরানি দেইখাছ আমার নিকুঞ্জ বিহারী।
এ গো বল গো সখি কুশলের কথা পাই কিসেতে প্রাণশশী।
প্রভুবিনে মনান্তরে বুক চোষিল তীক্ষ্ণ শরে।
জল দেও জল দেও বলি ডাকি নিরন্তর।
এ গো চাতক যেমন উর্ধ্ব মুখে জল বিনে থাকে বসি।
প্রভু বিনে বিরহেতে বুক চোষিল তীক্ষ্ণ শরে।
জলন্ত অনল আমি না পারি সহিতে।
এ গো জলবিনেতে বুক চোষিল মন মজাইল প্রিয় শশী।
ডাকি প্রভু সোনা রতন কুঞ্জে কর আগমন
দরশন দেও প্রভু মদন মোহন।
এ গো কুঞ্জবনে কদমতলে প্রেম সুরে বাজাও বাঁশী।
শিতালং অনুক্ষণ ডাকি প্রভু নিরঞ্জন প্রবাসী অতিথি জানি দেও দরশন।
এ গো দরশনে পাপনাশে জিন্দাকায়া মৌরশি ।