খেলারসে ছিল কৃষ্ণ ছিদামের সনে।
হেন বেলে রাধারে পড়িয়া গেল মনে।।
ধেনু সঙ্গে নিয়োজিয়া সব সখাগণ।
যমুনার ঘাটে গিয়া দিলা দরশন।।
ঠাঁই বুঝি বসিলেন কদম্বের তলে।
ঘাটের গলায় মালা দান লবার ছলে।।
হেন কালে লাস বেশে সাজাইয়া পসরা।
সে মথুরার বিকে যায় গোপিকারা।।
হের কে দেখ গো বড়াই কদম্বের তলে।
যে দেখি সে ঘোর ঘটা ভাসাইবে জলে।।
কেন বা আইলাম বিকে আপন খাইয়া।
ঐ দেখ ডাকে বাঁশি রাধার নাম লইয়া।।
শ্যামচাঁদের উপরে ধবল চাঁদা মেলা।
তাহারি উপরে শোভে তিমিরের মালা।।
তাহার উপর মত্ত-মউরপুচ্ছ সাজ।
হেন অদ্ভুত রূপ কেবা দেখিয়াছ।।
তাহার উপরে মত্ত মউরের পাখা।
আমা হইতে জাতি কুল নাহি গেল রাখা।।
নীল মেঘ উপরে কিবা নব ইন্দ্রধনু।
তড়িত-জড়িত রূপ নবঘন তনু।।
শিরে চূড়া পীত ধড়া বনমালা গলে।
ত্রিভঙ্গ-ভঙ্গিম রূপ কদম্বের তলে।।
কত কোটি চন্দ্র জিনি শ্রীমুখের ছটা।
গোবিন্দদাসের মন কেন লাটাপাটা।