গগনে নিরখি বেলা ছল করি কুটিলা
রাধার মন্দিরে যায় ধেয়ে।
গিয়া রাধার ভবনে দেখে সব সখীগণে
যায় রাধা স্নানের লাগিয়ে।।
দুই এক পদ যায় নন্দালয় পানে চায়
দেখি মনে সংশয় জন্মিল।
দেখিব কৃষ্ণ কি করে এত চিন্তি অন্তরে
নন্দের মন্দিরে প্রবেশিল।।
দেখে কৃষ্ণ গেল স্নানে কুটিলা কুপিত মনে
দাঁড়াইয়া ক্ষণেক ভাবিল।
আজি ইহার তত্ত্ব লয়ে শাস্তি দিব দাদাকে কয়ে
ভাবি পদ লখিয়া চলিল।।
তুলসী দেখিল দূরে ঘন দুটি হাত নেড়ে
কুটিলা আসিছে কুঞ্জপানে।
নিরখি সভয় চিত মন্দিরে পশি তুরিত
নিবেদিল রাধা কৃষ্ণ স্থানে।।
শুনি বিনোদিনী রাই কৃষ্ণ মুখ পানে চাই
ভয়ে অঙ্গ কাঁপে থরহরি।
সজল নয়নদ্বয় বিনয়ে কান্তেরে কয়
রক্ষা কর বিপদ কাণ্ডারি।।
কৃষ্ণ কন ভয় হেন কর প্রাণেশ্বরী কেন
আজি মোর মায়া বিস্তারিব।
আয়ান মুরতি হয়ে এখনি নিকটে গিয়ে
কুটিলারে বঞ্চনা করিব।।
তবে রাইয়ে প্রবোধিয়ে বৃন্দার নিকটে গিয়ে
আয়ান রূপ করিলা ধারণ।
ভণে দ্বিজ অকিঞ্চন তার শঙ্কা কি কারণ
যার সখা বিপদভঞ্জন।।