দেখা দিয়া জুড়াও পরাণ। ধু
অবলা মন্দিরে বসি, প্রাণের নাথ বাজায় বাঁশী, অভাগিনী শুনি বাঁশীর গীত।।
অই বন্ধের বাঁশীর সানে, ধৈরজ ন মানে প্রাণে, আকুল করিল নারীর চিত।।
শুনিয়া মোহন বাঁশী, হইলুম তোমার দাসী, ভজিলুম তুই শ্যামের চরণে।
না দেখি তোমার জ্যোতি, স্থির নহে মোর মতি, একবার দেখা কর নারীর সনে।।
দয়ার ঠাকুর তুমি, তোমার ভাবক আমি, তুমি দয়া ন করিলে মোরে।
তুমি প্রাণনাথ বিনে, আর দয়া করিব কোনে, তুমি বিনে কে আছে সংসারে।।
তোমার কৃপা ফলে, মোহর ভাগ্যের বলে আসিয়াছ অবলা মন্দিরে।
এই ঘর আন্ধার করি, একদিন যাইবা ছাড়ি, কেনে দেখা নদেও রাধারে।।
তনুর অন্তরে পশি, মনুরা রহিছে বসি, কিরূপে ভজিলে দেখা পাই।
কহন্ত বদিয়ুদ্দিনে, গুরুর আদেশ বিনে, দেখিবার আর লক্ষ্য নাই।।