নীলাচলে জগন্নাথ রায়।
গুণ্ডিচা-মন্দিরে চলি যায়।।
অপরূপ রথের সাজনি।
তাহে চড়ি যায় যদুমণি।।
দেখিয়া আমার গৌরহরি।
নিজগণ লৈয়া এক করি।।
মাল্য চন্দন সভে দিয়া।
জগন্নাথ নিকটে যাইয়া।।
রথ বেঢ়ি সাত সম্প্রদায়।
কীর্ত্তন করয়ে গোরা রায়।।
আজানুলম্বিত বাহু তুলি।
ঘন উঠে হরি হরি বুলি।।
গগন ভেদিল সেই ধ্বনি।
অন্য আর কিছু নাহি শুনি।।
নিতাই অদ্বৈত হরিদাস।
নাচে বক্রেশ্বর শ্রীবাস।।
মুকুন্দ স্বরূপ রাম রায়।
মন বুঝি উচ্চস্বরে গায়।।
গোবিন্দ মাধব বাসু ঘোষ।
যার গানে অধিক সন্তোষ।।
বসু রামানন্দ নরহরি।
গদাধর পণ্ডিতাদি করি।।
দ্বিজ হরিদাস বিষ্ণুদাস।
ইহা সভার গানেতে উল্লাস।।
এই মত কীর্ত্তন নর্ত্তনে।
কথো দূর করিল গমনে।।
এ সভার পদ-রেণু আশ।
কর কহে বৈষ্ণবের দাস।।