বঁধু, কহ না রসের কথা শুনি।
কেমন কামিনী-সঙ্গে যাপিলা যামিনী রঙ্গে
কত সুখে পোহালা রজনী।।
নীল-নলিনী আভা কে নিলে অঙ্গের শোভা
কাজরে মলিন অঙ্গখানি।
চিকণ চূড়ার ছাঁদ কে নিল বরিহা ফাঁদ
আজি কেন পিঠে দোলে বেণী।।
ধন্য সে বরজ-বধূ যে পিয়ে অধর-মধু
পাষাণে নিশান তার সাখী।
রক্ত উৎপল ফুলে যৈছন ভ্রমর বুলে
ঐছন ফিরয়ে দুটি আঁখি।।
রচিয়া সিন্দুরের বিন্দু কে নিল চন্দন ইন্দু
নাসা ছলে নাকের মুকুতা।
দ্বিজ চণ্ডীদাস কয় এ কথা অন্যথা নয়
ভাল জানে বৃষভানুসুতা।।