হাসি হৃষীকেশ– “শুনহ মহেশ, পূরব বৃত্তান্ত কথা। কহিএ সকল শুন মন দিয়া পুলক পাইবে এথা।। গোকুল-নগরে নন্দঘোষ-ঘরে জনম লভিব যবে । প্রাণ-প্রাণেশ্বরী প্রেম-অধিকারী সে জন পিরিতি লবে।। এই না পিরিতি প্রেমের আরতি শুনহে দেবাধিগণ। বৃখভানুপুরে বৃখভানুরাজে তাহার দুহিতা জন।। তারে সমর্পণ করিব জতন পিরিতি আখর তিন। সেই সে জানএ পিরিতি-মরম তারে কৈল সমর্পণ।।” একথা শুনিঞা […] keyboard_arrow_right

হাসি-মুখ ধনী রাধা বিনোদিনী চাহিয়া শ্যামের পানে — “পূর্ণ হল কাম যতেক কামনা যে সুখ আছিল মনে।। তাহা বিধি আনি ভালে মিলায়ল কামনা পূরল আজি। প্রেম পরশিয়া লালস পাইয়া পশরা আনিতে সাজি।। বিকি কিনি হল কদম্ব-তলাতে মনোরথ হল সিধি। বেলা সে হইল ঘরে সে যাইতে কহি শুন গুণনিধি।। পুনঃ কালি মোরা পশরা সাজায়ে আসিব মথুরা-পথে। […] keyboard_arrow_right

হাসিয়া কহেন তবে নন্দের নন্দন। … … … … … …। “* ইন্দ্র খাএ আসি দেখিতে কি পায়। কেমত মুরুতি কায়া কারে সে খা * *।। … … … … … মারে।” কহেন গোয়াল –“কভু না দেখি তাহারে।। পুজা করি আসি মোরা … … । … … … … বৎসরেক প্রতি।।” একথা সুনিঞা তবে কহেন […] keyboard_arrow_right

হাসিয়া নাগর চতুর শেখর রাধারে কিছুই বলে।– “কহিল সকল তোমার গোচর বাঁশীর বচন-ছলে।। কখন কখন বাজয়ে কেমন কখন মধুর সম। কখন কখন গরল সমান গাইতে হইয়ে ভ্রম।। কোন অভিলাষে বাজয়ে কেমন না জানি ইহার রীত। মধুর মধুর বাজয়ে সুস্বর কত আনন্দের গীত।। বাঁশী পরবশ নহে নিজ বশ কখন হয়নি ভাল। বাঁশীর চরিত বুঝিতে না পারি […] keyboard_arrow_right

হাসিয়া হাসিয়া বড়াই রসিয়া ধরিল রাধার করে। হাসনি রসিয়া রাই পানে চায়্যা হরষে কহিছে তারে– “কত সুধা নিধি আমার আঁচলে করে সে পরশি লহ । কিবা চাহ দান রসাল মিশাল আসি ভাঙ্গাইয়া লহ।। এক শত লাখ হাতে গণি পাবে বচন আমিয়া-কণি। আর লক্ষ লক্ষ চাহনি মধুর লেহত আসিয়া গণি।। অআর কোটী লক্ষ অধর মধুর দেখই […] keyboard_arrow_right

হাসিয়া নাগর চতুর-শেখর যতনে আনল তরি। চাপায়ে রাধারে সবারে সুধায়- “খেয়া দেয়া আছে ভারি।। একে একে করি সবে পার করি আমার এ না’টি ভাঙ্গা। পাছে দরিয়াতে ডুবহ বেকতে মোটা আছে কার গা।। ক্ষীণ যার গায় চড়’সিয়া নায় সবারে করিব পার। মোর কাছে থোহ বচন শুনহ যত আভরণ ভার।।” রাধা বলে- “ভাল দানের বিচার বিষম দানীর […] keyboard_arrow_right

হাসিয়া নাগর চতুর-শেখর রাধারে কিছুই বলে। কহিল সকল তোমার গোচর বাঁশীর বচন ছলে।। কখন কখন বাজয়ে কেমন কখন মধুর সম। কখন কখন গরল সমান গাইতে হইয়ে ভ্রম।। কোন অভিলাষে বাজয়ে কেমন না জানি ইহার রীত। মধুর মধুর বাজয়ে সুস্বর কত আনন্দের গীত।। বাঁশী পরবশ নহে নিজ বশ কখন হয়নি ভাল। বাঁশীর চরিত বুঝিতে না পারি […] keyboard_arrow_right

হাসিয়া হাসিয়া নাগর রসিয়া না’খানি উজান বাহে। দরিয়া হইতে ওপার করিলা নৌকা কূলে গিয়া রহে।। জনে জনে সবে আনন্দ হইলা ওপরার হইল রাধা। জনে জনে ঘরে চলিলা হরষে আন নাহি কিছু রাধা।। এত বলি সবে গেলা নিজ-গৃহে আহীর-রমণী যত। পশরা এলায়ে গৃহ সমপিয়া গৃহপতি বলে কত।। “এতক্ষণ কেনে বেলি অবসানে আইলা গৃহের মাঝ। ছি ছি […] keyboard_arrow_right

হিমঋতু সময়ে সঙ্কেতকুঞ্জে ধনি তুয়া লাগি করত বিলাপ। ঘোর বিরহজরে জরজর মানস শিশিরহি থরথর কাঁপ।। রীতু বসন্ত বিবিধ ফুল বিকসিত ফাগুয়া খেলই রঙ্গে। সো বরনারি তোহারি লাগি ঝুরত রোয়ত সহচরি সঙ্গে।। গিরিষ সময়ে তনু গলি গলি পড়ু মহি ঘামই বিরহ-হুতাশে। বর্ষা ঋতু ভেল ঝরয়ে নয়নে জল দুখসায়রে ধনি ভাসে।। নিরমল শরদচাঁদ হেরি সো ধনি সোঙরিয়া […] keyboard_arrow_right

হিমঋতু হিমকর হিমময় বাত। তাহে বিরহজরে থর থর গাত।। এ হরি কত সহুঁ অবলা নারি। বিরহক বেদন সহই না পারি।। দীঘল রজনি তুরিতে না পোহায়। ছট ফট করি নিশি জাগিয়া গোঙায়।। পুরুবরভস মনে হয় উপনীত। উচস্বরে তবহি রোয়ে বিপরীত।। জীবন ধরয়ে তুয়া প্রতিআশে। তোহারি চরণে কহ উদ্ধবদাসে।। keyboard_arrow_right