• ১১. গীতগোবিন্দের আন্তর ও সাঙ্গীতিক রূপ
    পূর্বে আমরা তাঞ্জোর-সরস্বতীমহল-প্রকাশিত Gitagobinda with Abhinaya-গ্রন্থ থেকে “গীতগোবিন্দ” – পদগানের নৃত্যসম্পৃক্ত নাট্যরূপের কিছুটা পরিচয় দিয়েছি এবং সেই নৃত্যসম্পৃক্ত নাট্যশাস্ত্রকার মুনি ভরত ( ভরত-এর সঙ্গে “মুনি” শব্দ ব্যবহার করার উদ্দেশ্য এই যে, “ভরত” একটি উপাধি (title)-বিশেষ এবং এই উপাধিধারী শাস্ত্রকার বা গ্রন্থকার আরও অনেক ছিলেন৷ নাট্যশাস্ত্র রচয়িতা ভরতকে তাঁদের থেকে পৃথক করার জন্য তাই “মুনি” শব্দ […] keyboard_arrow_right
  • ১২. গীতগোবিন্দের গঠনশৈলী
    গীতগোবিন্দে ক্রমিক পদগান বা অষ্টপদীর রীতি অনুসারে রাগ ও তালের নাম ও রূপের পরিচয় দেবার চেষ্টা করবো৷ যে কটি অভিজাত শাস্ত্রীয় রাগ ও তালের সন্নিবেশ আছে গীতগোবিন্দের পদগানগুলিতে, সেগুলির সঙ্গে অন্যান্য বিচিত্র রাগ ও তালকে সম্পর্কিত করা হয়েছে পরবর্তী কৃষ্ণকীর্তন অপেক্ষা ও মহাজন পদাবলীকীর্তনে ৷ সুতরাং পদাবলী কীর্তনের রাগ ও তালের বিশেষ অনুশীলন করার প্রসঙ্গে […] keyboard_arrow_right
  • ১৩. গীতগোবিন্দে রাগরূপ ও তার বিকাশ
    আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি যে, মালব, মালবগৌড়, গুর্জরী, বসন্ত, রামকিরী, বা রামক্রী, কর্ণাট, দেশাখ বা দেবশাখ, দেশ-বরাড়ী, গোণ্ডকিরী ভৈরবী, বিভাস ও বরাড়ী বা বরাটী রাগগুলি “গীতগোবিন্দ”-পদগানের সঙ্গে সম্পর্কিত ৷ পূজারী গোস্বামী ও অন্যান্য অধিকাংশ টীকা ও ভাষ্যকাররা এই রাগগুলিরই উল্লেখ করেছেন এবং একথাও আলোচনা করেছি যে, রাণা কুম্ভ (রাণা কুম্ভ নামটি “রাণা কুম্ভা” নামে পরিচিত–যদিও […] keyboard_arrow_right
  • ১৪. গীতগোবিন্দে রাগ ও তালের সমাবেশ
    “গীতগোবিন্দ”-পদগানে রাণা কুম্ভা যেভাবে রাগ ও তালের সমাবেশ করেছেন পূর্বে সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি৷ গীতধারার পরিবর্তন সাধারণত সমাজ ও শিল্পীর রুচিকে অপেক্ষা কিংবা অনুসরণ করেই হয়৷ রাণা কুম্ভা বিশেষভাবে তাঁর “সংগীতরাজ”-গ্রন্থকে অনুসরণ করেছেন গীতগোবিন্দে রাগবিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ৷ পূজারী গোস্বামী -প্রমুখ অধিকাংশ টীকা ও ভাষ্যকাররা মূলরীতিকেই অনুসরণ করে গীতগোবিন্দে রাগনামের পরিচয় দিয়েছেন৷ রাগগুলির নাম — মালব, […] keyboard_arrow_right
  • ১৫. গীতগোবিন্দ ও পদাবলীকীর্তনের নায়ক-নায়িকা
    বৈষ্ণব-পদাবলীকীর্তনে নায়ক-নায়িকাভেদ, তার রসবিকাশ ও ভাবতত্ত্বই প্রধান৷ তাছাড়া অপার্থিব রাধাকৃষ্ণলীলাতত্ত্বই শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধার বিচিত্র লীলাকাহিনীর আকারে পদাবলীকীর্তনের প্রধান বিষয়বস্তু৷ পদাবলীকীর্তনে মাথুর, বাস, কলহান্তরিত, দান, নৌকাবিলাস, খণ্ডিতা প্রভৃতি পালা শ্রীরাধা-কৃষ্ণের অপ্রাকৃত প্রেমলীলাকাহিনীকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে ৷ শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণ সকল পালা বা কীর্তনকাহিনীরই প্রাণবস্তু৷ কিন্তু পদাবলীকীর্তনে সমগ্র রাধাকৃষ্ণলীলাকাহিনীর উৎস গীতগোবিন্দকাব্য বা গীতগোবিন্দপদগান৷ গীতগোবিন্দের প্রথম সর্গের […] keyboard_arrow_right
  • ১৬. বৈষ্ণব-পদাবলীতে পঞ্চরাত্রসংহিতার প্রভাব
    মনে রাখতে হবে যে, সার্থক কবি জয়দেবের “গীতগোবিন্দ”-পদগান রাধাকৃষ্ণ-লীলাবিষয়ক ও রসাস্বাদনপ্রধান ৷ শ্রীচৈতন্যপরবর্তী গৌড়ীয় বৈষ্ণবগোস্বামীগণ-প্রবর্তিত বৈষ্ণবধর্ম পরবর্তীকালে আরও অধিক তত্ত্বপ্রধান ও রসসাধনাত্মক হলেও কবি জয়দেবের সময়েই বৈষ্ণবধর্মের নবজাগরণচেতনা সমগ্র বাংলাদেশকে প্রবুদ্ধ করেছিল৷ খ্রীষ্টীয় দ্বাদশ শতকেই আমরা শ্রী, ব্রহ্ম, রুদ্র ও সনকাদি এই চারপ্রকার বৈষ্ণব-সম্প্রদায়ের সম্প্রসারণ লক্ষ্য করি এবং এই সম্প্রদায়গুলি রামানুজ, মধ্ব, বল্লভ ও নিম্বার্ক […] keyboard_arrow_right
  • ১৭. কৃষ্ণ-বাসুদেব-তথা ও তত্ত্ব
    কৃষ্ণ-বাসুদেবের বিকাশের ইতিহাস পুরাণ-সাহিত্য থেকে অল্পই জানা যায়৷ ডঃ হেমচন্দ্র রায়চৌধুরীর অভিমত যে, মোটামুটিভাবে (১) ছান্দোগ্য উপনিষৎ, (২) পতঞ্জলির মহাভাষ্য, (“হেতুমতি চ” –৩৷১৷২৬ পাণিনীয় সূত্রের ভাষ্যে মহর্ষি পতঞ্জলি কংসভক্ত ও বাসুদেব ভক্ত-সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করেছেন ৷) (৩) বৌদ্ধ-ঘটজাতক ও জৈন উত্তরাধ্যয়ণসূত্র ( ৪) মহাভারত, ও হরিবংশ, (৫) কতকগুলি পুরাণ ও (৬) কোন কোন সম্প্রদায়গত উপনিষৎ […] keyboard_arrow_right
  • ১৮. কীর্তনের প্রাণকেন্দ্র শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধা
    অষ্টাধ্যায়ীকার পাণিনি (খ্রীষ্টপূর্ব ৫ম শতক), মহাভাষ্যকার পতঞ্জলি (খ্রীষ্টপূর্ব ৩য়-২য় শতক) থেকে আরম্ভ করে মহাভারত (খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০)-সংকলয়িতা ব্যাস পর্যন্ত সকলেই কংসের নিধনকারী শ্রীকৃষ্ণের মহিমা কীর্তন করেছেন৷ পতঞ্জলি (যোগদর্শনকার পতঞ্জলি এবং মহাভাষ্যকার পতঞ্জলি এক ব্যক্তি নন এটি অনেক পণ্ডিতের অভিমত)৷ তাঁর মহাভাষ্যে “কংসবধ” -নাটকের উল্লেখ করেছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে কংস ও কৃষ্ণের ভূমিকায় নটদের মুখে কিভাবে লালরঙ […] keyboard_arrow_right
  • ১৯. বৈষ্ণব-পদাবলীকীর্তনের প্রাণতত্ত্ব
    এক উল্লেখযোগ্য যে, কবি জয়দেব গীতগোবিন্দে “রাধামাধয়োর্জয়ন্তি যমুনাকূলে রহঃ কেলয়ঃ”(১।১), “রাসবসে-সহনৃত্যপরা হরিনা”(১।৪৫) প্রভৃতি কৃষ্ণের দিব্যসহচারিণী বা “লীলাসঙ্গিনী-রূপে নির্বিচারে “রাধা” বা “রাধিকা” শব্দ ব্যবহার করেছেন প্রধানা গোপীর পরিবর্তে ৷ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ও অন্যান্য প্রাচীন বাংলা-সাহিত্যেও “রাই”, “রাহী”, “রাধা” এবং “কিশোরী” প্রভৃতি শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায়, কিন্তু বিকাশধারার দিক থেকে রাধা ও রাধিকা শব্দদুটির মধ্যে বেশ পূর্বাপর ভাবের […] keyboard_arrow_right
অভিসার আক্ষেপানুরাগ কুঞ্জভঙ্গ খণ্ডিতা গীতগোবিন্দ গোষ্ঠলীলা দানলীলা দূতী ধেনুবৎস শিশুহরণ নৌকাখন্ড পূর্বরাগ বংশীখণ্ড বিপরীত বিলাস বিরহ বৃন্দাবনখন্ড ব্রজবুলি বড়াই বড়াই-বচন--শ্রীরাধার প্রতি মাথুর মাধবের প্রতি দূতী মান মানভঞ্জন মিলন রাধাকৃষ্ণসম্পর্ক হীন পরকীয়া প্রেমের পদ রাধা বিরহ রাধিকার মান লখিমাদেবি শিবসিংহ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শ্রীকৃষ্ণের উক্তি শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ শ্রীকৃষ্ণের মান শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য শ্রীগুরু-কৃপার দান শ্রীরাধা ও বড়াইয়ের উক্তি-প্রত্যুক্তি শ্রীরাধার উক্তি শ্রীরাধার প্রতি শ্রীরাধার প্রতি দূতী শ্রীরাধার রূপবর্ণনা শ্রীরাধিকার পূর্বরাগ শ্রীরাধিকার প্রেমোচ্ছ্বাস সখীতত্ত্ব সখীর উক্তি সামোদ-দামোদরঃ হর-গৌরী বিষয়ক পদ